“ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা” নামের জোটটি আত্মপ্রকাশ করেছে।

আন্দোলন প্রতিবেদন
শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হাসিনা-আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদী চরিত্রে আর্বিভূত হওয়ার পর থেকেই ফ্যাসিবিরোধী জোট করার জন্য নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। প্রথমে ৯টি সংগঠনের ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য প্রচেষ্টা চললেও বিবিধ মতপার্থক্যের কারণে শেষ পর্যন্ত ৭টি সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইস্যুভিত্তিক জোট “ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা” গঠিত হয়েছে। এই সংগঠনগুলো হলো– ১। বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, ২। গণমুক্তি ইউনিয়ন, ৩। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব), ৪। কমিউনিস্ট ইউনিয়ন, ৫। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, ৬। জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ ও ৭। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা।
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান, মার্কিন-রুশ-চীন-ভারতসহ সকল সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ-আধিপত্যবাদের হস্তক্ষেপ উচ্ছেদ এবং শ্রমিক-কৃষক ও জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শ্রমিক-কৃষক ও ব্যাপক জনগণের লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ সংগঠনসমূহ নির্দিষ্ট ১৩ দফা ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যৌথ আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলবে।
ইতোমধ্যেই এই জোট আশু কর্মসূচি হিসেবে গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও চাল-ডাল-তেল-আটাসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারী ও ফোনে আঁড়িপাতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের জনগণকে নির্যাতন-হয়রানির প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ, মিছিল-মিটিং ও সমাবেশের কর্মসূচি গ্রহণ ও পালন করেছে এবং যেখানে সম্ভব সেখানেই জোটগতভাবে কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সক্রিয় সকল শাখার সংগঠকগণ দায়িত্বশীলতার সাথে জোটগত কর্মসূচি পালন করছে।
ফ্যাসিবিরোধী বাম মোর্চার নির্দিষ্ট ১৩ দফা ইস্যু হচ্ছে–
১. শ্রমিক কৃষক ও ব্যাপক জনগণের ক্ষমতা ও অবাধ গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিবেশসহ জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা। সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ৫৪ ধারা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল, শিল্পপুলিশ-শিল্পগোয়েন্দা-র্যাবসহ দমনমূলক সকল আইন, বাহিনী ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা। শ্রমিক কৃষক জনগণের মতপ্রকাশ, সংগঠন-সমাবেশ-আন্দোলন করার অবাধ অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
২. রাজনৈতিকসহ সকল ধরনের হয়রানিমূলক মামলা-হামলা, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও দায়ীদের বিচার। সমাজের সর্বস্তরে ফ্যাসিবাদী খুঁটি ও ব্যবস্থার অপরসারণ এবং দায়ীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান করা।
৩. রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ও জনগণের সম্পদ আত্মসাৎকারী, দুর্নীতিবাজ, দখলদার, পাচারকারীর বিচার। ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটসহ দুর্নীতিবাজ আড়তদার-মজুদদার চক্র ভেঙ্গে দিয়ে দায়ীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান। শেয়ারবাজার , কুইকরেন্টাল, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার সহ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বদৌলতে দুর্নীতি, লুণ্ঠন, পাচার, অতিশোষণ, ও নিপীড়নের মত গুরুতর অপরাধে যুক্তদের বিচার ও শাস্তি প্রদান, তাদের অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও রাজনৈতিক অধিকার নিষিদ্ধ করা।
৪. বিদ্যুৎ-পানি-জ্বালানি-সারসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, মজুরি ও বেতন বৃদ্ধি করাসহ শ্রমজীবী-নিম্নবিত্ত- মধ্যবিত্তদের জন্য সারা বছর সারাদেশে আর্মি রেটে রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা।
৫. রাজনীতি, অর্থনীতিসহ দেশের উপর সকল বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং ফ্যাসিস্ট শাসনের অধীনে করা ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও প্রকল্পসমূহ বাতিল করা। অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যবস্থা করাসহ স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করা।
৬. শ্রমিকের অবদমিত মজুরি ও ফ্যাসিস্ট শ্রম কাঠামো অপসারণ করে সুস্থ্য ও স্বচ্ছল জীবন যাপনের উপযোগী মজুরি, ৮ ঘণ্টা শ্রমসময়, রেশন, বেকারভাতাসহ গণতান্ত্রিক শ্রম কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।
৭. বন্ধ ঘোষিত পাটকল ও চিনিকল আধুনিকায়ন ও রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা আদায়সহ সব সেক্টরে শ্রমিকদের অধিকার আদায় করা।
৮. কৃষি উপকরণের দাম কমানো, ফসলের ন্যায্য দাম ও ক্ষেতমজুরদের সারাবছরের কাজ ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, এনজিও-মহাজনী শোষণমূলক সুদ ও মধ্যস্বত্ব ব্যবস্থার অবসানসহ ভূমির গণতান্ত্রিক সংস্কার করা।
৯. পাহাড় ও সমতলের নিপীড়িত জাতিসত্তার স্বীকৃতি, ভাষা-সংস্কৃতির বিকাশ, সহায়-সম্পদের সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুকূল সুযোগ সৃষ্টি করা।
১০. নারীর উপর ধর্ষণ-নিপীড়ন-বৈষম্যের অবসান, নারী-পুরুষ সমানাধিকার, যুবকদের উন্নত কর্মসংস্থান, জাতিগত-ধর্মীয়-ভাষাগত সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন-বৈষম্যের অবসান, সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
১১. রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ধর্মের সকল ব্যবহার বন্ধ করা। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক শর্ত ও ভিত্তি অপসারণ করা।
১২. শিক্ষার বাণিজ্য, সাম্প্রদায়িকীকরণ ও নৈরাজ্যের অবসান। রাষ্ট্রের দায়িত্বে সর্বজনীন বৈষম্যহীন সেক্যুলার এই পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতির অবসান ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশের ব্যবস্থা করা। পর্ণগ্রাফি, মাদকাসক্তিসহ সমাজিক অনাচার প্রতিরোধ করা।
১৩. চিকিৎসা-শিক্ষা-পরিবহণ-আবাসনসহ জনজীবনের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান নৈরাজ্যের অবসান করা। রাষ্ট্র কর্তৃক জনগণের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব গ্রহণ। মানসম্মত স্বাস্থ্য ও বাসস্থান, নিরাপদ সড়ক ও কর্মক্ষেত্র, দুষণমুক্ত খাদ্য ও পরিবেশসহ শ্রমিক-কৃষক জনগণের জীবনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।
এই জোটকে “ফ্যাসিবাদী সরকার এবং শাসকশ্রেণির উচ্ছেদ এবং শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্তসহ জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিপ্লবী সংগ্রাম বেগবান করুন”– এই স্লোগানের ভিত্তিতে আন্দোলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে এবং “ফ্যাসিবিরোধী গণ সরকার” প্রতিষ্ঠার অসম্পূর্ণ কাজটির রূপরেখা সম্পন্ন করার আলোচনাটি এগিয়ে নিতে হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
“ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা” নামের জোটটি আত্মপ্রকাশ করেছে।
হাসিনা-আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদী চরিত্রে আর্বিভূত হওয়ার পর থেকেই ফ্যাসিবিরোধী জোট করার জন্য নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। প্রথমে ৯টি সংগঠনের ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য প্রচেষ্টা চললেও বিবিধ মতপার্থক্যের কারণে শেষ পর্যন্ত ৭টি সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইস্যুভিত্তিক জোট “ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা” গঠিত হয়েছে। এই সংগঠনগুলো হলো– ১। বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, ২। গণমুক্তি ইউনিয়ন, ৩। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব), ৪। কমিউনিস্ট ইউনিয়ন, ৫। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, ৬। জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ ও ৭। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা।
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান, মার্কিন-রুশ-চীন-ভারতসহ সকল সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ-আধিপত্যবাদের হস্তক্ষেপ উচ্ছেদ এবং শ্রমিক-কৃষক ও জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শ্রমিক-কৃষক ও ব্যাপক জনগণের লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ সংগঠনসমূহ নির্দিষ্ট ১৩ দফা ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যৌথ আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলবে।
ইতোমধ্যেই এই জোট আশু কর্মসূচি হিসেবে গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও চাল-ডাল-তেল-আটাসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারী ও ফোনে আঁড়িপাতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের জনগণকে নির্যাতন-হয়রানির প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ, মিছিল-মিটিং ও সমাবেশের কর্মসূচি গ্রহণ ও পালন করেছে এবং যেখানে সম্ভব সেখানেই জোটগতভাবে কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সক্রিয় সকল শাখার সংগঠকগণ দায়িত্বশীলতার সাথে জোটগত কর্মসূচি পালন করছে।
ফ্যাসিবিরোধী বাম মোর্চার নির্দিষ্ট ১৩ দফা ইস্যু হচ্ছে–
১. শ্রমিক কৃষক ও ব্যাপক জনগণের ক্ষমতা ও অবাধ গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিবেশসহ জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা। সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ৫৪ ধারা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল, শিল্পপুলিশ-শিল্পগোয়েন্দা-র্যাবসহ দমনমূলক সকল আইন, বাহিনী ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা। শ্রমিক কৃষক জনগণের মতপ্রকাশ, সংগঠন-সমাবেশ-আন্দোলন করার অবাধ অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
২. রাজনৈতিকসহ সকল ধরনের হয়রানিমূলক মামলা-হামলা, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও দায়ীদের বিচার। সমাজের সর্বস্তরে ফ্যাসিবাদী খুঁটি ও ব্যবস্থার অপরসারণ এবং দায়ীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান করা।
৩. রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ও জনগণের সম্পদ আত্মসাৎকারী, দুর্নীতিবাজ, দখলদার, পাচারকারীর বিচার। ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটসহ দুর্নীতিবাজ আড়তদার-মজুদদার চক্র ভেঙ্গে দিয়ে দায়ীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান। শেয়ারবাজার , কুইকরেন্টাল, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার সহ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বদৌলতে দুর্নীতি, লুণ্ঠন, পাচার, অতিশোষণ, ও নিপীড়নের মত গুরুতর অপরাধে যুক্তদের বিচার ও শাস্তি প্রদান, তাদের অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও রাজনৈতিক অধিকার নিষিদ্ধ করা।
৪. বিদ্যুৎ-পানি-জ্বালানি-সারসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, মজুরি ও বেতন বৃদ্ধি করাসহ শ্রমজীবী-নিম্নবিত্ত- মধ্যবিত্তদের জন্য সারা বছর সারাদেশে আর্মি রেটে রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা।
৫. রাজনীতি, অর্থনীতিসহ দেশের উপর সকল বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং ফ্যাসিস্ট শাসনের অধীনে করা ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও প্রকল্পসমূহ বাতিল করা। অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যবস্থা করাসহ স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করা।
৬. শ্রমিকের অবদমিত মজুরি ও ফ্যাসিস্ট শ্রম কাঠামো অপসারণ করে সুস্থ্য ও স্বচ্ছল জীবন যাপনের উপযোগী মজুরি, ৮ ঘণ্টা শ্রমসময়, রেশন, বেকারভাতাসহ গণতান্ত্রিক শ্রম কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।
৭. বন্ধ ঘোষিত পাটকল ও চিনিকল আধুনিকায়ন ও রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা আদায়সহ সব সেক্টরে শ্রমিকদের অধিকার আদায় করা।
৮. কৃষি উপকরণের দাম কমানো, ফসলের ন্যায্য দাম ও ক্ষেতমজুরদের সারাবছরের কাজ ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, এনজিও-মহাজনী শোষণমূলক সুদ ও মধ্যস্বত্ব ব্যবস্থার অবসানসহ ভূমির গণতান্ত্রিক সংস্কার করা।
৯. পাহাড় ও সমতলের নিপীড়িত জাতিসত্তার স্বীকৃতি, ভাষা-সংস্কৃতির বিকাশ, সহায়-সম্পদের সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুকূল সুযোগ সৃষ্টি করা।
১০. নারীর উপর ধর্ষণ-নিপীড়ন-বৈষম্যের অবসান, নারী-পুরুষ সমানাধিকার, যুবকদের উন্নত কর্মসংস্থান, জাতিগত-ধর্মীয়-ভাষাগত সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন-বৈষম্যের অবসান, সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
১১. রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ধর্মের সকল ব্যবহার বন্ধ করা। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক শর্ত ও ভিত্তি অপসারণ করা।
১২. শিক্ষার বাণিজ্য, সাম্প্রদায়িকীকরণ ও নৈরাজ্যের অবসান। রাষ্ট্রের দায়িত্বে সর্বজনীন বৈষম্যহীন সেক্যুলার এই পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতির অবসান ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশের ব্যবস্থা করা। পর্ণগ্রাফি, মাদকাসক্তিসহ সমাজিক অনাচার প্রতিরোধ করা।
১৩. চিকিৎসা-শিক্ষা-পরিবহণ-আবাসনসহ জনজীবনের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান নৈরাজ্যের অবসান করা। রাষ্ট্র কর্তৃক জনগণের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব গ্রহণ। মানসম্মত স্বাস্থ্য ও বাসস্থান, নিরাপদ সড়ক ও কর্মক্ষেত্র, দুষণমুক্ত খাদ্য ও পরিবেশসহ শ্রমিক-কৃষক জনগণের জীবনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।
এই জোটকে “ফ্যাসিবাদী সরকার এবং শাসকশ্রেণির উচ্ছেদ এবং শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্তসহ জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিপ্লবী সংগ্রাম বেগবান করুন”– এই স্লোগানের ভিত্তিতে আন্দোলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে এবং “ফ্যাসিবিরোধী গণ সরকার” প্রতিষ্ঠার অসম্পূর্ণ কাজটির রূপরেখা সম্পন্ন করার আলোচনাটি এগিয়ে নিতে হবে।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র